Cloud Capped Cat / মেঘে ঢাকা বিলাই 

আব্বুর তখন অনেক অসুখ। পেমফিগাস ভালগারিস। রেয়ার ডিসিস। ঢাকা-বগুড়া মিলিয়ে অনেক হাসপাতাল আর ডাক্তার দেখালাম আমরা। মা বলে, কোন কোন ডাক্তার খুব মনোযোগ দিয়ে টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখতে দেখতে আব্বুর ভবিষ্যৎ বলে দিত, ‘বাঁচবে না, ৫ কি ১০ বছর ধরেন।’ 

আমার মা, আর সব মায়ের মতই মায়ায় ভরা। আমি আর হৃদি ছাড়াও আমাদের আব্বু ধীরে ধীরে তাঁর আর একটা সন্তান হয়ে গেল। আব্বু যত অসুস্থ হয় মা তার তত যত্ন নেয়। আমরা সবাই হাল ছাড়লেও মা হার মানে না। মা বলল, ‘ইন্ডিয়া যাব, ওদের ট্রিটমেন্ট ভাল।’ 

আমি তখন পাঠশালার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি, খুব মনোযোগী ছাত্র, মনে অনেক রং। হাত ভরে ছবির প্রিন্ট নিয়ে ক্লাসে যাই, ডার্করুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করি। ক্লাসের ফাঁকে লেকে আড্ডা মারি, ক্লাস শেষে-রাত হলে জো আর তপুর সাথে কোন একটা বাসে উঠে পরি। কোথায় যাব, কবে ফিরব, কে জানে? 

ক্লাস বাদ দিলাম, মাও তাঁর কলেজে ছুটি নিলো। এরপরের কয়েক বছর আব্বুর ট্রিটমেন্টের জন্য আমরা ঢাকা-কোলকাতা-ভেলোর করে বেড়ালাম। প্রতিবারে বিশ-বাইশ দিন থাকি, ফিরে এসে একটু গুছাতেই আবার যাবার সময় হয়। প্রথম প্রথম ভাবতাম, যেখানেই থাকি ছবি তুলব। ধীরে ধীরে দেখলাম ব্যাপারটা অত-ও সহজ নয়। হাসপাতাল, ডাক্তার, হোটেল, খাবার, ভিসা, পাসপোর্ট, ট্রান্সপোর্ট করতে করতে মাস পার হয়ে যেত। ছবি যে তুলব, হাত-ই ফাঁকা থাকতো না। পানির বোতল, সুটকেস, টিকেট, প্রেসক্রিপশন- হাত ভরা। অথচ, আশেপাশে গল্পের শেষ নেই। আমার খুব লোভ হত সব কিছুর ছবি তোলার। পারতাম না। গল্প না বলে, ধীরে ধীরে নিজেই গল্প হয়ে যাচ্ছিলাম। 

আব্বুর ইন্ডিয়ায় হাসপাতালে থাকার দিনগুলিতে, সকালে ডাক্তারের সাথে কনসাল্ট করে আব্বুকে দেখে, রেঁধে-খেয়ে নিতাম; একটু বিকালে আব্বুকে আবার দেখতে যাবার আগে। দুপুরে মা ভাতঘুম দিত আর আমি শুয়ে-বসে থাকতাম। এই সময়টা খুব শান্ত, কিছুই করার নেই। একটু টায়ারিং।  

নিজের বানানো একটা নোটবুকে রং আর কাঠি দিয়ে ছবি আঁকতে শুরু করলাম। রোজ দিনের গল্প, যা দেখি তাই- খুবই মান্ডেন। তাই আঁকতাম যার ছবি তুলতে পারতাম না আর না হয় ঘরে ফেলে আসা কোন গল্প যার আর আমি অংশ কিনা জানি না।

সেল্ফ পোর্ট্রেট

​নিজেকে আঁকা মনে হয় সবচেয়ে কঠিন। আমিতো আমাকে দেখি না। আবার হয়তো সবচেয়ে সহজও, আমার চাইতে আমাকে আর কে ভাল করে দেখে। খাতার ভিতর কোন ভাবনা না ভেবে মেলা সময় ধরে হুদাই আঁকিবুঁকি দিয়ে মনে হল; ধুরছাই, এটা কিছু হয় নাই।

লুইপা

​শেষবার লুইপার সাথে কথা হয় আমাদের মালতি নগরের বাসার বারান্দায়, অনেক বছর আগে। একটা গাছ দেখিয়ে বললাম এটা আমার আর মার করা বনসাই। ও বলল ওদেরও আছে; প্লাস্টিকের।

আমার ঘর, শ্যামলী

ঢাকায় থেকে পড়বার জন্য আমি বুতিতার (আমার মেঝখালা) বাসায় থাকতাম। আমার ঘরটা মোসাইক করা। একটা ম্যাট্রেস পাতা, নিচু কম্পিউটার টেবিল। ছোট ঘর, কোন বিশেষত্ব নেই। আমাদের অনিশ্চিত জীবনে কোলকাতার হোটেলে থাকার সময় এই ঘরটাতেই ফিরতে চাইতাম। আর ঘরে ফেরা মানেই অথর্ব হওয়া, কাজ নেই, ঘুম নেই, নিয়ম নেই; থাকবে খালি ঘরটাই।

আমি, জো, তপু; পাঠশালা 

​কোন এক শুক্রবারের দুপুরবেলা। আমি, জো, তপু পাঠশালার ছাদে বসে অপেক্ষা করছি রোদ নামার। স্কুলটা ফাঁকা। ছুটির দিন। একটা আমগাছের নিচে দোতলার ছাদটাই আমাদের উঠান। আড্ডা আর বিড়ি ফুকার জায়গা। মতি ভাই দুইটা হাঁস, কয়েকটা মুরগি-কবুতর পালতো। ওগুলোও ওখানেই ঘুরতো ফিরতো।  

রোদ পরলেই স্কুল থেকে বের হয়ে আমরা একটা বাসে উঠে বসব। কোথায় যাব, জানি না।

বইন 

​হৃদি আমার ছোট বোন। খুবই আহ্লাদী, আদরের। অনেকদিন পরপর কাউকে দেখলে মনে হয় মানুষটা বড় হয়ে গেছে। হৃদির ক্ষেত্রে উল্টা, ও আমার আরও ছোট বোন হয়ে যেত। 

বাপ

​আব্বুর বাম পায়ে সোয়েলিং হতে শুরু করল। পেটটা ফুলে গেছে। আমার আব্বুকে আগে কখনো আনসেভড দেখি নাই। ধীরে ধীরে ওর খোঁচা খোঁচা দাড়ি হতে শুরু করল। দেখলে মনে হত অনেক ক্লান্ত। বগুড়ার বাসায়, আব্বু ওর শোবার ঘরের ছোফায় টিভির রিমোট হাতে আধবোজা চোখে বসে থাকত। টিভিতে কী হচ্ছে ও মনে হয় না তার কিছুই দেখতো। পাশের ঘর থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভির একঘেয়ে শব্দ আর আব্বু ঘুমিয়ে যাবার পর ভারী নিঃশ্বাস ছাড়া আর কিছুই শোনা যেত না।

মাও

বাড়িতে থাকার সময় মা ওর নিজেকে খুব কমই সময় দিতে পারত। আব্বু দিন দিন ছোট শিশু হয়ে যাচ্ছিল; আমার মায়ের নতুন সন্তান। কলেজে পড়ানো, রান্নাবান্না, আব্বুর ওষুধ, কাজের লোক আর আমাদের সামলাবার পর ওর আর নিজের বলে কিছু থাকত না। প্রতিদিন আব্বু ঘুমিয়ে গেলে, অনেক রাতে আম্মু ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে যেত ওর গাছে পানি দিতে। 

বাপ, মাও, পিয়ারলেস হসপিটাল 

​আব্বু তখন খানিকটা সুস্থ। আমরাও হাসপাতাল এরিয়ার সাথে অভ্যস্থ হয়ে গেছি। ভিসিটিং আওয়ারে কয়েকটা খালি বোতল হাতে হাজির হতাম, যাবার সময় হাসপাতাল থেকে পানি নিয়ে যাব। একজনের বেশি এটেন্ডেন্ট এলাউড না, তারপরও কীভাবে কীভাবে জানি আমি আর মা ভিতরে ঢুকে পরতাম। আমাদের দেখলেই আব্বুর মুখটা হাসি হাসি হয়ে উঠত। ঐ দুঘণ্টা ওরা অনেক কথা বলতো। আমাদের হোটেলটা কেমন, আশেপাশের লোকজন কেমন করে কথা বলে, আব্বুর কি ঘুম হয়, আব্বু কী পেয়ারা খাবে? -এইসব। মাঝেমাঝে আমি ওয়াশরুমে যাবার নাম করে বেরিয়ে পরতাম হাসপাতাল থেকে। থাক, ওরা আরও একটু কথা বলুক।

ফুড ফিয়াস্তা, সার্ভে পার্ক, কোলকাতা 

​মা বলল আজকে আমরা বাইরে খাব। বাইরে খাব মানে প্রতিদিন হোটেলের আশেপাশে যে রেস্টুরেন্ট কিংবা হাসপাতালের ক্যান্টিনে খাই সেখানে খাচ্ছি না। আজকে খাবার বাজেট বেশি, তাই রাস্তার ঐপারে আমরা খেতে যাব। রাস্তার উপরেই দোকান, রোববার সন্ধ্যায় অনেক ভিড় হয়। মা একটা ভেজ আর আমি একটা চিকেন চাওমিন নিয়ে সামনাসামনি খেতে বসলাম। মার মনটা খুশিখুশি, ফুরফুরে। আমাদের সামনের টেবিলে আর একটা লোকাল ফ্যামিলি খেতে এসেছে। ঐ বাড়ির মেয়েটা ইন্ডিয়ার বাইরে কোথাও পড়তে যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া বা কানাডা হবে। ছিপছিপে দেখতে, চুল একপাশে বাঁধা। আমি বারবার চোরা চোখে ওকে দেখছি। মা একটানা কথা বলেই যাচ্ছে, এখানকার খাবার-লোকজন এইসব নিয়ে। 

মেয়েটা আমার দিকে তাকাল, আমিও তাকিয়ে থাকলাম। অনেকক্ষণ। 

মা কামাক্ষ্যা নিবাস, কোলকাতা  

​হাসপাতালের উল্টা পাশে, গলির ভিতরে, রাস্তার উপরে, তিনতলায় আমাদের হোটেল। রুমটা বড়, দুইটা বেড। অন্য রুম গুলোর চাইতে তাই পঞ্চাশ টাকা ভাড়া বেশি। এই এলাকার সব হোটেলের রুমগুলোতে প্রায় ছাদের কাছে একটা করে ছোট টিভি বাঁধা। সন্ধ্যা হলেই আশপাশের রুম থেকে ভেসে আসে হিন্দি গান আর বাংলা সিরিয়াল এর আওয়াজ।

তারগাছ, নন্দন; কোলকাতা 

​আজকে আমি আব্বুকে দেখতে যাব না। মাকে হাসপাতালে রেখে আমি বের হলাম নন্দন দেখতে। রুদ্র-আনন্দ শহরে ঘুরে দেখবার জায়গার লিস্ট করে দিয়েছিল। আমাদের দুইটা ফোন, একটা থাকে আব্বুর কাছে আর একটা আমাদের কাছে। আম্মুর কাছে আমাদের ফোন, হোটেলের চাবি রেখে আমি বের হলাম। কথা দিলাম হাসপাতালের ভিসিটিং আওয়ার শেষ হবার আগেই ফিরবো। নন্দনের বাইরে বসার জায়গায় বসে বসে দেখলাম, একটা মরা গাছকে ওরা রেখে দিয়েছে। কয়েকটা তার পাল্টানোর আলসেমিতে।

রান্নাবান্না, মা কামাক্ষ্যা নিবাস, কোলকাতা

​হাসপাতালের ক্যান্টিনে পাওয়া যায় চারাপোনা, রুই-কাতলা, ডীমভূনা, ডাল-চচ্চরি, আলু ভাজা, মুরগীর ঝোল। বাইরের রেস্টুরেন্ট গুলোতেও বাহান্ন-তেপ্পান্ন, উনিশ-বিশ। প্রথম প্রথম আমরা এইসবই খেতাম। মা খুবই ঘরোয়া লোক, আয়েশ করে রাঁধবে খাবে টাইপ। ওর হোটেলে খেতে ভাল লাগবে না সেটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া প্রতিবার কোলকাতা গেলে একদিন শুরুতে আর একদিন শেষে আব্বু আমাদের সাথে থাকতো। মা কোন ভাবেই ওকে বাইরের খাবার খাওয়াবে না। আশেপাশে খোঁজ করে জানলাম আমাদের হোটেলেই এক-দেড়শ টাকায় পনের দিনের জন্য পাতিল, প্লেট, চামুচ, ছুরি, বটি, চুলা ভাড়া পাওয়া যায়। আমরা নিয়ে নিলাম। লোকজনের কাছে শুনে, রেলস্টেশনের দিকে একটা বাজার থেকে এটা ওটা সবজি, মুরগী, চাল, ডাল, মসলা, তেল কিনলাম। সবজি দিয়ে লেটকা খিচুরি রান্না হবে। মা সবসময় আয়োজন মুখি। এই সামান্য রান্নাতেও একটা হইহই পরে গেল। আমি তখনো রাঁধতে শিখিনি। এটা কী ওটা কী প্রশ্ন করেই যাচ্ছি আর মা একটা ওস্তাদ মার্কা হাসিহাসি মুখ নিয়ে উত্তর দিচ্ছে। মাঝেমাঝে হুকুম দিচ্ছে-এটা কর, ওটা কাট, পান আন। একটু পরেই পাতিলের ঢাকনিটা কাঁপতে কাঁপতে ঘরময় খিদে ছড়িয়ে দিল।

আম্মা, মা কামাক্ষ্যা নিবাস, কোলকাতা  

​হোটেলের যে ঘরটায় আমরা থাকি তার দুটা খাট, একটা ছোট আর একটা বড়। দুটার পাশেই জানালা। আমাদের খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে ছোট খাটটাতে বসে আমরা গল্প করি। মার একটা ছোট নোটবুক আছে, ঐটায় প্রতিদিনের খরচ হিসাব লেখে।

দুপুরের পরে বিকাল হবার আগে আগে হোটেল পাড়াটাই শুনশান হয়ে পরে। রাস্তা গুলা ফাঁকা, মাঝেমাঝে দুয়েকটা খালি রিক্সা ধীরেধীরে চলে যায়। হাসপাতালের ভিসিটিং আওয়ারের আগে সবাই একটু জিরায়। দুপুরের এই অলস সময়টায় মাও একটা ভাতঘুম দেয়, আমি মেঝেতে বসে ছবি আঁকি। 

একদিন ছবি আঁকতে আঁকতে ঘাড় ফিরিয়ে দেখি অন্যদিনের চাইতে বেশ আগে মা ঘুম ভেঙ্গে উঠে চুপচাপ বসে আছে। মার পিছনে খোলা জানালা, পর্দা গুলা ধীরেধীরে নড়ছে। সদ্য ঘুম থেকে ওঠায় ওর মুখটা ফোলাফলা, চুল এলোমেলো। দৃষ্টি নিথর, পলকহীন। সামনে যেদিকে তাকিয়ে আছে তার কিছুই ও দেখছে না; যা দেখছে তার কিছুই এখানে নেই।

বারান্দার গাছ, গাছের বারান্দা

​শ্যামলীর ঘরের সাথে একটা ছোট বারান্দা। আমাদের ভাইদের আড্ডার জায়গা। 

মায়া

​জো আমার প্রিয় বন্ধু। দেশে থাকতে ওর সাথে ঘুরতাম, দেশে ফিরলে ওকেই আগে খুঁজি। ওরা নূরজাহান রোডের একটা সাত তলা বাসার চিলেকোঠায় থাকে। ঘরগুলো টিনের চালের, ব্যাপক গরম। আমি যাই আড্ডা দিতে। কোনকোন দিন থেকেও যাই। রাতভর আলাপ করি, তত্ত্ব কথা, রান্না-খাওয়া, এইসব চলে।

অয়ন
……

​আমার আঁকার খাতাটা দেখে অয়ন বলল ওর একটা ছবি আঁকতে।

ল্যাম্পপোস্টে আগুন

​আমিন বাজারের ব্রিজের আগে গাবতলিতে একটা কোরবানির পশুর হাট বসে। পশুর সাথে পশুর জন্য খড় আসে। কোন একদিন সন্ধ্যায় ঘুরতে যেয়ে দেখি একটা ল্যাম্পপোস্টের নিচে রাখা কিছু খড়ে ধুকধুক করে আগুন জ্বলছে। চারপাশে ধোঁয়া। ল্যাম্পপোস্টের আলো আর ধোঁয়া মিশিয়ে একটা স্টেজ হয়ে আছে। যে স্টেজে কোন নাটক হবে না, ওটা নিজেই একটা নাটক।

চুল

​অসময়ে ঘুম ভেঙ্গে গেল। একটু আগে দেখলাম, একটা মেয়ে অন্ধকারে চুল শুকাচ্ছে।

অমিত ভাই

​শ্যামলীতে আমার খালার বাসায় আমরা ভাইয়েরা একসাথে অনেক রাত পর্যন্ত সিনেমা দেখতাম। কোনকোন দিন সবাই শুতে গেলে অমিত ভাই একা একাই আমার বিছানার কোনায় দেয়ালে হেলান দিয়ে কিছু একটা দেখতো। ততক্ষণে আমাদের অন্য ভাইরা ঘুমিয়ে গেছে। আমি হয়তো জেগে জেগে শুয়ে আছি। আবার কখনো দুই ভাই বারান্দায় ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে স্পেস, হিউম্যান হিস্ট্রি, এটম, মিথ, রং তামাশা উদ্ধারের চেষ্টা করতাম। যদিও হওয়ার মধ্যে রাত বিদায় দিয়ে সকালটাই উদ্ধার হত।

আম্মু, মরা গাছের বাগানে

​ছাদে মায়ের অনেকগুলা গাছ। প্রতিবার বাড়ি ছাড়ার আগে মা একে ওকে বলে যায় গাছে পানি দিতে। বর্ষায় হয়তো নিজে নিজেই বেড়ে উঠে, মা বাড়ি ফিরে দেখে ফুল ফুটে আছে। কখনো বা দেখা যায় ঝড়ে ডাল-টব ভেঙ্গে গেছে।

একবার শীতে বাড়ি ফিরে ঘরটর ঠিক করে মার সাথে ছাদে গিয়ে দেখি গাছগুলো মরে পরে আছে। 

মা নতুন করে গাছ লাগায়। পুরাতন টব গুলো থেকে ঘাস তোলে, মাটি খোঁড়ে। মরা গাছ গুলোকে ফেলে না, পানি দেয়- হয়তো বেঁচে আছে, এই ভেবে।